বাংলার রক্তাক্ত ইতিহাস

0


বাংলার রক্তাক্ত ইতিহাস
৫২ দেখনি আমি,
তাই সময়তে নিজেকে খুব আটকপালে মনে হয়,
কারণ আমি সাক্ষী হতে পারিনি ভাষা আন্দোলনের
আবার, মনে হয় আমি খুবই সৌভাগ্যভান,
কারণ, আমি এমন দেশে জন্মেছি,
যে দেশের তুলনা করার মত ২য় কোন দেশ নেই,
যে দেশের সন্তানেরা মায়ের ভাষার জন্য প্রান দিয়েছে।
৫২ দেখিনি আমি, তবু আমি গর্বিত,
কারন মহান সৃষ্টিকর্তা অপরিমেয় মূল্যের দুটি আঁখি দিয়েছেন,
যে আঁখি দিয়ে আমি দেখি,
বাংলার গর্বিত ইতিহাস,
বাংলার রক্তাক্ত ইতিহাস,
রমনার রক্তাক্ত প্রান্তরের ইতিহাস,
ভাষা শহিদের প্রান উৎসর্গ করার ইতিহাস।
আমি আরও গর্বিত,
কারণ, মহান সৃস্টিকর্তা আমাকে গবেট করে জন্ম দেননি,
আমি হয়তো বারিস্টার বা পিএইচডি ডিগ্রি নিতে পারিনি,
তাতেও আমার দুঃখ নেই,
কারণ, ইতিহাস পরতে পিএইচডি লাগেনা,
ইতিহাস জানতে বড় বড় ডিগ্রিরও প্রয়োজন হয়না,
প্রয়োজন হয় শুধু সৎ উদ্দেশ্য এবং শিক্ষা।
ইতিহাসের গঙ্গায় আজো বহমান,
সেই রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার তলে প্রবাহিত রক্তের বন্যা,
আজো রক্তে লাল কৃষ্ণচূড়ায় ভেসে উঠে ওদের ছবি,
যারা কৃষ্ণচূড়ার লোহিত পাপড়ির মত
সেদিন ঝরে গিয়েছিল রমনার কৃষ্ণচূড়ার তলে,
আজো সবুজ ঘাসের শিশির বিন্দুর উপর ভেসে উঠে ওদের ছবি,
যাদের রক্তে সেদিন রক্তরাগ হয়েছিল রমনার সবুজ ঘাস।
৫২ দেখিনি আমি, তাতে কি!
আমি কি এতটাই জরাগ্রস্ত?
আমি কি এতটাই দেউলিয়া?
যে শহিদের পবিত্র রক্তে মায়ের ভাষা ফিরে পেলাম,
যে শহিদের পুণ্য রক্তে ২১শে ফেব্রুয়ারি পেলাম,
তাদেরকে নিয়ে মনে দ্বিধা ধারণ করবো?
আমি কি এতটাই অথর্ব?
যাদের বিনিময়ে দেশ পেয়েছি,
সেই ৩০লক্ষ পুণ্য আত্মা নিয়ে ইয়ারকি করবো?
৫২ দেখিনি আমি, তাই বলে কি,
আমি ক্ষমতার মসনদ হারানো উন্মাদ?
যে উন্মত্ততায় ৩০ লক্ষ পুণ্য আত্মাকে এক এক করে খুঁজতে হবে?
যে উন্মত্ততায় অস্বীকার করবো তাদের?
যারা আমার মায়ের ভাষাকে নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে এনেছিল।
৫২ দেখিনি আমি, তাতে কি?
আমি অস্বীকার করতে পারিনা ভাষা আন্দোলন,
আমি অস্বীকার করতে পারিনা ৭১এর ইতিহাস,
আমি অস্বীকার করতে পারিনা রমনার রক্তাক্ত ইতিহাস,
আমি অস্বীকার করতে পারিনা ৩০লক্ষ শহিদের ইতিহাস,
আমি অস্বীকার করতে পারিনা ভাষা শহিদের পুণ্য আত্মার ইতিহাস,
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
সিঙ্গাপুর
২১/০২/২০১২

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)