ছেলেদের কাছে মেয়েদের কি চাওয়ার থাকতে পারে?

0

ছেলেদের কাছে কি চায় মেয়েরা - কথায় বলে মেয়েদের 'মন বোঝা দায়!' অনেকের তো বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না। তাই মনে যাই থাকুক মুখে বলে অন্য কথা। এ সবের মধ্যেও আসল পছন্দটা কী?

কোনও দিন কোনও মেয়েকে জিজ্ঞেস করেছেন কি সে কেমন ছেলে পছন্দ করে? অবশ্য প্রশ্ন করলেই যে ঠিক উত্তর পাওয়া যাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। কথায় বলে মেয়েদের 'মন বোঝা দায়!' অনেকের তো বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না।

তাই মনে যাই থাকুক মুখে বলে অন্য কথা। এ সবের মধ্যেও আসল পছন্দটা কী? কলকাতা ও আশপাশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল তা কিন্তু অবাক করে দেওয়ার মতো।

তাঁদের বক্তব্য থেকে যেটা উঠে এল তাতে দেখা যাচ্ছে, ছেলেরা যতই কায়দার হেয়ার স্টাইল দেখাক, ঝক্কাস বাইক হাঁকাক, সিক্স প্যাকের সেক্সি বডি বানাক আসলে মেয়েরা নিদেন পক্ষে বাঙালি মেয়েরা পছন্দ করে একজন মজাদার ছেলেকে। সেটা বন্ধু হিসেবে, বয়ফ্রেন্ড হিসেবে, স্বামী হিসেবে কিংবা ডেটিং পার্টনার হিসেবে। মজার সঙ্গে বাকি দু'টো পেয়ে গেলে তো সোনায় সোহাগা। 

কী বললেন তাঁরা?

ভাল চাকরি বা ব্যবসা তো চাই, ভাল স্বাস্থ্যও চাই কিন্তু সবার আগে তাঁকে মজাদার হতে হবে। কারণ, জীবনে মজা না থাকলে অর্থ কিংবা সেক্স সম্পূর্ণ আনন্দ দিতে পারে না। সুতরাং, যতই কেতা থাকুক, যতই কব্জি কিংবা পকেটের জোর থাকুক 'রামগরুড়ের ছানা' কখনও ভাল পার্টনার হতে পারে না।

এটা কি মধ্যবিত্ত মানসিকতা? নাকি ঠেকে শেখা! সব মেয়েরই প্রকারান্তরে এক জবাব, কলেজ ক্যান্টিনে যে ছেলেটা টেবিল বাজিয়ে গান করে তার সেক্স নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। কিন্তু তার প্রেমে পড়তে মন চায়। যে ছেলেটা দিনরাত জোকস শোনায় সে সবার আগে সকলের মধ্যমণি হয়ে ওঠে।

কারণটা কী?

১। মজাদার ছেলের সঙ্গ কখনও একঘেয়ে হয় না। নতুন নতুন কথা বলতে ও কাজ করতে পারে।

২। হাসিয়ে মন ভাল করে দেয়। যে কোনও বিষয়ে তার মন্তব্য শুনতে ইচ্ছে করে।
৩। মজাদার মানুষ বেশিরভাগই সৃষ্টিশীল। সংকটের সময় উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগাতে পারে।

৪। রসবোধ দিয়ে পরিবেশকে হালকা করে রাখে। ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

৫। মজাদার ছেলেরা বেশি সেন্সেটিভ হয়। তাই গোমড়া মুখ দেখলেই না হাসিয়ে ছাড়ে না।

কাজের চাপে তৈরি হওয়া অবসাদে এই মজাটাই তো সবচেয়ে দরকারি। আর মজায় থাকা মানেই তো সেক্স কিংবা সংসার সর্বত্রই সুখ।
অন্যরা যা পড়ছে
কিভাবে বুঝবেন ভেঙ্গে যাচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্ক

সবাই প্রেমে পড়ে। কেউ আগে কেউ পরে। কারো কারো ক্ষেত্রে প্রেমে পড়েত খুব অল্প সয়ম লাগে। ঠিক তেমনি ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতে ও পারে অল্প সময়ে। সম্পর্কের শুরুতে অনেকে নানা ধরনের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু কিছু জিনিস আছে যা আপনার সম্পর্কের ইতি টানতে পারে, এসব স্বপ্নকেও করে তুলতে পারে বিষাক্ত ও কষ্টের।হ্যাঁ, ব্রেকআপ ব্যাপারটা অনেক কষ্টের। কিন্তু অনেক সময়ে সেটাই হতে পারে আপনার জন্য খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত। যখন সম্পর্কটি বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তখন বুঝে নিতে হবে তা টিকবে না।

আপনি যদি সঙ্গীর সাথে আগের মত সুখী না থাকেন, অথবা এই সম্পর্কের কারণে চিড় ধরছে আপনার আত্মবিশ্বাসে, তাহলে হয়তো সময় এসেছে সম্পর্কের ইতি টানার। বেশিদিন একটি অসুস্থ সম্পর্কে থাকা মানে আপনার শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

আপনাদের সম্পর্কটা যত নতুন বা পুরনো হোক না কেন, ব্রেকআপে কষ্ট হবেই। আর এরপরে নিজেকে সারিয়ে তোলার ভারটাও আপনাকেই নিতে হবে। সম্পর্কে কিছু লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন এত কষ্ট সহ্য করেও ব্রেকআপ করাটাই হবে ভালো সিদ্ধান্ত। দেখে নিন এমনই ছোট্ট ছোট্ট ১৩টি লক্ষণ-

মন খুলে কথা বলতে পারেন না
লাইফ অ্যান্ড ওয়েলনেস কোচ ডানা পিটার্স কাজ করেন এমন অনেক নারীর সাথে যাদের আছে ইটিং ডিজঅর্ডার, বডি ইমেজে সমস্যা এবং খুবই কম আত্মবিশ্বাস। অনেকেই এসব সমস্যা লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। আপনি যদি নিজের এসব সমস্যা প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে আপনি সুস্থতা পাবেন না। সম্পর্কে থাকা অবস্থায় সঙ্গীর সাথে এসব সমস্যার ব্যাপারে কথা বলতে পারলে সম্পর্ক শক্তিশালী হয় এবং ভবিষ্যতেও সুস্থ একটি সম্পর্ক ধরে রাখা যায়। আর তা করতে না পারলে সম্পর্কটি হয়ে যেতে পারে ঠুনকো।

পারিবারিক সমস্যা
হ্যাঁ, কোনো পরিবারই একদম নিখুঁত নয়। কিন্তু কিছু কিছু পরিবার খুবই জটিল, আর সে কারণে আপনার ও আপনার সঙ্গীর মাঝে যদি সমস্যা তৈরি হয় তবে সে সম্পর্কের ইতি টানাই ভালো। কারণ একে তো পরিবারের থেকে কোনো কিছু গোপন রাখা ভালো নয়, আর এই টানাপোড়েনের প্রভাব একটা সময়ে আপনাদের মাঝে দুরত্ব তৈরি করবেই।

আর্থিক ব্যাপারে মতবিরোধ
ডিভোর্স অ্যাটর্নি মিশেল সিঙ্কোভিত্‍জ ফার্গুসনের মতে, আর্থিক ব্যাপারে একমত না হওয়া এবং ভুল বোঝাবুঝি খুব বেশি সমস্যা তৈরি করে এবং সে সম্পর্কের ভবিষ্যতটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

অতীতের সম্পর্ক নিয়ে হিংসা
প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে নিয়ে হিংসা খুব সুন্দর একটি সম্পর্কের ভিতটাকেও নাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি আগের মানুষটির সাথে কেমন সম্পর্ক রাখতেন, এটা নিয়ে যদি কারো মাঝে বিদ্বেষ তৈরি হয়, তবে সে মানুষটি আসলে আপনার ভালোবাসার যোগ্য নন। আপনার আগের সম্পর্কের ব্যাপারে কোন লুকোছাপা রাখবেন না ঠিকই, কিন্তু সেটা নিয়ে কোনো হিংসা-বিদ্বেষও বরদাশত করবেন না।

সন্তান পালনে মতবিরোধ
বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা জরুরি যে, সন্তানকে কিভাবে বড় করে তুলবেন তার ব্যাপারে একমত থাকা। কবে সন্তান নেবেন বা আদৌ নেবেন কিনা, কয়টি সন্তান হবে, সন্তানকে কিভাবে শাসন করবেন এসব ব্যাপারে আলোচন করে একমত হতে না পারলে আপনাদের সম্পর্ক বেশিদিন না টানাই ভালো।

ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ দেয়া
ফার্গুসন এটাও বলেন, যে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ রাখা, নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক বজায় রাখা খুবই দরকারি। যোগাযোগের অভাবে হতে পারে ভুল বোঝাবুঝি। এছাড়াও ঝগড়া করে দিনের পর দিন কথা না বলা, সমস্যার সমাধান না করা এটাও সম্পর্ক নড়বড়ে করে দ্যে।

সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে যাওয়া
সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে যদি আপনি ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে অনেক সময়েই দেখা যায় এই সম্পর্কের শেষ ঘণ্টা বেজে গেছে। অনেক সময়ে অবশ্য কিছু পরিবর্তন 

তথ্যসূত্রঃ https://m.dailyhunt.in

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)