এসো বিড়াল পুষি _ আব্দুল্লাহ জিয়াদ

0



এসো বিড়াল পুষি

......... ……...

আব্দুল্লাহ জিয়াদ

বিড়াল একটি সুপরিচিত গৃহপালিত প্রাণী, কচিকাঁচা সোনামণি'দের সাথে বিড়ালের সখ্যতা গড়ে ওঠে সহজেই। তো সোনামণি'রা এসো বিড়াল সম্পর্কে কিছু চমৎকার অজানা গল্প কথন জেনে নিই।

আজ থেকে আট হাজার বছর আগে বিড়াল জঙ্গলে বাস করতো, এরপর খাদ্যের সন্ধানে ইদুর ধরতে তারা ক্ষেত খামারে চলে আসে। তারপর মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠলে তারা লোকালয়ে পৌঁছে যায়।

ইসলাম ধর্ম সহ অনেকগুলো ধর্ম মতে বিড়াল পবিত্রতার প্রতীক। কারণ সে কখনো অপবিত্র জায়গায় যায়না বা শোয় না।

এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বিড়ালের দেহে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা তার আশেপাশের মানুষের দেহ থেকে নেগেটিভ এনার্জি শুষে নয়,ফলে টেনশন,ডিপ্রেশন, মানষিক অবসাদ অনেক কমে যায়। এছাড়া যে ঘরে বিড়াল বসবাস করে সে ঘরে জ্বিন বা কোন খারাপ আত্মা থাকে না বলে ধারণা প্রচলিত আছে।

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বাড়িতে নিয়মিত একাধিক বিড়াল পুষতেন, এজন্য আরবিতে আবু হোরায়রা অর্থ বিড়াল পালনকারী হয়েছে। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিড়ালকে খুব আদর যত্ন করতেন এবং খেতে দিতেন। ওমর বিন আব্দুল আজিজ( রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে,একদা এক মহিলা ১টি বিড়ালকে বেধে রেখে খেতে না দিয়ে অনাহারে মেরে ফেলেছিলেন, শুধু এই অপরাধের কারণে তিনি জাহান্নামি হয়েছেন!

ধর্মের শিক্ষাটা হলো বিড়াল বাড়িতে পুষলে অবশ্যই তার সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে ও খেতে দিতে হবে। তবে বিড়াল পাগল বা হিংস্র হয়ে গেলে তাকে দূরে কোথাও রেখে আসতে বলা হয়েছে।

তো সোনামণিরা এই আলোচনা থেকে বুঝা গেল বাড়িতে বিড়াল পোষা অবশ্যই একটা ভাল কাজ। আর বিড়ালকে আদর যত্ন করা ও তাকে খেতে দেয়াটা তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, তাই নয় কি?

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)