ঈদ অভিজ্ঞতা _ শামছুন ফৌজিয়া

0

ঈদ অভিজ্ঞতা

বলা বাহুল্য প্রবাসীরা একদিন আগে রোজা রাখে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে তাই দেশের চাইতে একদিন আগে হয় আমাদের ঈদ। আমরা বৃহস্পতিবার ঈদ করেছি। আগের রাতে কিছু কাজ গুছিয়ে রেখেছিলাম। কারণ প্রবাসে নিজেকেই সব করতে হয়।

খুব ভোরে ওঠার অভ্যাস বরাবরের আর ভোরে ওঠে গোসল, নামায পড়ে চলে গেলাম সোজা কিচেনে । কারণ সকাল ৭.৩০ মিনিটে ঈদের জামায়াতে নামায পড়বেন আমার বর। তাই নিজের হাতে বানানো পরোটা ভেজে সেমাই সাথে কিছু নাস্তা টেবিলে দিলাম। অবশ্য এত সকালে তেমন কিছুই খাওয়া হয়নি। আর আমি নাস্তা বানাতে বেশ পছন্দ করি, শপ থেকে নয় ঘরেই তৈরি করার চেষ্টা করি। তাই এবারে ও কিছু নাস্তা তৈরি করেছি এবং রবিবারে আমার ঘরে পরিবারের সবাইকে ইনভাইট করেছি সেগুলো কাজে লাগবে।

আমার বড় ছেলেকে গোসল করিয়ে নাস্তা দিলাম। সাথে শুরু হল ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ফোনে। বলাবাহুল্য বেশিরভাগ আত্মীয় এখানে তো এভাবেই কাটল সকাল দশটা। মায়ের সাথে ফোনে কথা বললাম , আজ দেখতে যেতে পারবনা কারণ আমরা ঈদ করতে নিউজার্সি চলে যাব আমার ছোট ননদের ঘরে। প্রতি বছর এটাই নিয়ম । এখানে যারা আছেন বরের ভাই বোন সবাই একসাথে হই ঐদিন । দূরে যারা তারা তো আসতে পারেনা। অপেক্ষা করছিলাম ছেলেদের কেয়ারার মহিলা এবং আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আরাছিলির। ওর সকালে জব ছিল তাই দুপুর ১২.৩০ মিনিটে আসলে আমরা উবারে করে নিউজার্সি রওয়ানা হই। মাত্র ৩০ মিনিটের মাথায় পৌছে গেলাম উৎসবে। ওখানে বিরাট আয়োজন হয়, গতবছর কোভিডে আয়োজন হয়নি। এবার সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অংশ নিয়েছে। ওখানে বাংগালী, আমেরিকান, ভারতী, পাকিস্থানী কম্যুনিটির সবাই ইনভাইটেড হন সব সময় আর জমজমাট ছিল । হরেক রকমের খাবার আর পরিবারের সবার সাথে ও মেহমানদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে দিনটি ভালোই কেটেছে। বিকাল চার্টের মধ্যে গেস্টরা চলে গেলে আমরা আরো কিছু সময় কাটিয়ে রওয়ানা দিলাম নিউইয়র্কের উদ্যেশ্যে। মাশাআল্লাহ অনেকদিন পরে একটা উৎসবে যোগ দিতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ছেলেরা এনজয় করেছে খুব, কারণ কোভিডের জন্য কোথাও বের হইনা আর স্কুলগুলো ওদের বন্ধ।

অনেক শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে আমরা সুন্দর মত একটি ঈদ পালন করলাম, শুকরিয়া এই বৈশ্বিক মহামারীতে সুস্থতায় আছি বলে।

ছককার সবাইকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদমোবারক । সবাই ভালো থাকুন এই কামনা করি।

Shamsun Fouzia

15/5/21

New York, USA

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)