পোড়ানো অতীত _ শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেমের কবিতা

1 minute read
0


পোড়ানো অতীত কেউ ছিলো এই তটে..... কেউ ছিলো এই গায়ে..... কেউ ছিলো এই বাড়ীতে! গর্জন গাছটা কবেই ফুড়ুৎ! আকাশী গাছ টাও! বারোয়ারীর জমির কৃষ্ণচূড়া, ডুমুর, শাল, অর্জুন, বেলী, জুঁই, চামেলী সব উজার! অকুল স্রোতে যে নদী ভাসিয়ে নিতো পারাবার, সে নদী বড় রুক্ষ! উড়ু হারানোর দুঃখে আলপথ ছায়াবাড়ী সব শেষ। এক চোখ কানা ভজন উদাস গলায় গাইতো বাউল গান আর পাতলা বেতে নিপুণ মাছের ঝাঁকা ছিলো তার সৃষ্টি সে আজ আর নেই.......! মৃত খালটা ভরাট প্রায়........,! বিচালী বিছানো উঠোন আর নেই! প্রবাসী ফুলের মতো...... বিশাল বিশাল পাকা বাড়ী ঘর! উঠোন জুড়ে চাতালের খর! যেনো, এখানে নোঙ্গর ফেলেছে হাহাকার! অন্ধের পৃথিবীতে শুধুই কাতরতা! . এখন আমি বলি, আমি একটি মা কে জানতাম! আমি একটি মমতাময়ী মুখকে জানতাম! আমি একটি বাড়ি কে জানতাম! আমি একটি নদীকে জানতাম! আমি একটি শেঁকড় কে জানতাম! আমি শতাব্দীর সীমানায় হারাতাম! আমি বুলবুলির ডানায় চিরকুট উড়িয়ে দিতাম। আমি অবলম্বনের রোদেলা মেঘ কে চিনতাম! ... ... . হে অতীত তোমার চোখের নীচে কালসীটে দাগ! বয়সের ভারে নুজ্য আমার গা! এখন দেখছি চাকচিক্য আর কোলাহল! .................হে অতীত কোথায় তুমি............ আধুনিকতার জৈবিক স্পর্শে তুমি হারিয়ে গেলে! পেছন থেকে কেউ তো ডাকেনা এই দাঁড়া........ কিছু কথা শোন! যে বাড়িতে কেটেছে আমার শৈশব কৈশোর সে বাড়ি হাসপাতালের চাদরের মতো নিস্পন্দ, নিস্প্রাণ! অতীত আর আমায় পিছু ডাকেনা! সভ্যতার জোয়ার ভাটার টানে হারিয়ে গেলাম অতলে অচেনায়!!!

শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)