অসমাপ্ত
প্রেম
মোঃ
সৈকত
❑
দ্বিতীয়
পর্ব –
❑
আমি শুধু ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়েই থাকলাম। কি করবো বলুন! চোখের
সামনে এমন মেয়েকে দেখলে কার না মন ধক করে উঠবে বলুন? আমারো ঠিক একই অবস্থা। ওর
রুপের লাবন্যতা, চেহারার বদান্যতা, এলোমেলো চুলগুলো, শরীরের গড়ন, মুখের হাসি,
মুক্তার মতো দাঁত সবকিছু মিলিয়ে ও যেন এক অনন্য মায়াময় রমনী । আমি নিশ্চিত যদি রবি
ঠাকুর কিংবা কাজী নজরুল বেঁচে থাকতেন তাহলে কিছু না হলেও ওকে নিয়ে একটা প্রেমের
কবিতা লিখতেন। যে কোন যুবক ওকে প্রথম দেখাতেই ওর প্রেমে পরবে এটা আর বলার অপেক্ষা
রাখে না। যাইহোক , আমিও তার ব্যতিক্রম নোই। আমি যতই ওর দিকে তাকিয়ে থাকি ততোই যেন
আমি ওর ভিতর হারিয়ে যেতে থাকি। কি অপরুপ সৌন্দর্য ও মমতায় সৃষ্টিকর্তা ওকে সৃষ্টি
করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ওর চোখদুটো যেন নিক্ষিপ্ত তীর যা আমার
হৃদয়েকে লক্ষ্যবস্তু করে ছুরে দিয়েছে আর ওটা আমার দিকে ছুটে এসে আমার হৃদয়ের মাঝে
বিদ্ধ হয়েছে।
আমি মনে মনে ওকে ভালোবেসেই ফেললাম তাও আবার একটি মাত্র দেখায় এখন
ভাবুন তো পরিস্থিতি কেমন হলে এমন হয়? তবে আমার এটাও মনে আছে আমি ওদের অতিথি। তাই
ওকে হয়তো এভাবে ভালোবাসার কথাটা বলতে পারবো না তবে মনে মনে সারা জীবন মনে রাখার
পরিকল্পনা করে রাত্রিবেলা নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। খাওয়া শেষ করে শুইতে
যাবো ঠিক তখুনি নূপুরের মা অর্থাৎ যাদের বাসায় আমরা উঠেছি তিনি আমাকে বললেন তুমি
আজ সাকিবদের ঘড়ে থাকবে। ওখানে তোমার জন্য বিছানা করা আছে সাকিব বাড়িতে নেই। সাকিব
হচ্ছে মেয়েটার মামাতো ভাই। যাইহোক, আমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে সাকিবের ঘড়ে
গেলাম। ঠিক এমন সময় মেয়েটিও ঐ ঘরে গিয়ে হাজির।
দুই পর্বেই শেষ করার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আজ আর সময় পেলাম না। তাই শেষ অংশ অন্যদিন লিখবো।

