চিঠি ❑ কাঁচ কাটা হীরা

0



চিঠি

কাঁচ কাটা হীরা

"প্রিয়তমা,"

"যদি এক বিন্দু ভালোবাসা পাই,

তবে এক সিন্ধু হৃদয় দেব।"

"এতটুকু আশা" দেবার মত কোনো কাজ আমি জোটাতে পারলাম না। "পরাজিত সৈনিক" আমি। "পাগল মন" আমার, "অবুঝ মন"- তোমাকে পাওয়ার আশায় " কাগজের ফুল" দিয়ে মালা গাঁথার বৃথা চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে রেললাইনের ধারে বসে বসে ভাবছি জীবনের "ছন্দ হারিয়ে গেল!" "পদ্মা নদীর মাঝি" তে কুবের পঙ্গু স্ত্রীকে ভুলে "কপিলা" প্রেমে পড়ে ছিল। "সুজন সখী" সুজন সখীকে পাওয়ার জন্য পাগল ছিল। আমি তোমার জন্য "নীল আকাশের নীচে" একা একা পথ চলি। "সারেঙ বউ" এর কবরী সারেঙের বেটা কি বেহায়া বললেও ফারুকের আনা পুঁতির মালা পেয়ে খুশিতে পাগলপারা হয়ে ছিল। আজ সেই কবরী আর নেই। আর "তুমি আমার" থেকেও নেই! আমার এমন পোড়া কপাল তোমার জন্য একটা চুলের কাটাও আনতে পারিনি। "শাপ মুক্তি" বা "শাপ মোচন" এর আশায় আমি এখন পথে পথে হাঁটি, পথ যে আমার ঠিকানা! "গোলাপি এখন ট্রেনে" মতো ট্রেনে চড়ার টাকা আমার নাই। তোমার সেই "কাঁচ কাঁটা হীরে" এখন শরৎচন্দ্রের "চরিত্রহীন!" তোমাকে ভালোবেসে আজ আমি অনেকের "চোখের বালি!" আজ আমি বুদ্ধদেব গুহের "মাধুকরী!", "পথই আমার ঠিকানা!" জহির রায়হানের "হাজার বছর ধরে আমি পৃথিবীর বুকে পথ হাঁটিতেছি।" শহীদুল্লাহ্ কায়সারের "সংশপ্তক" এর কানকাটা রমজানেরও একটা মূল্যছিল। আজ সেই মূল্যটুকুও আমার নেই। একদা সখের বসে হিমু হয়ে পথে পথে ঘুরেছি আর ভেবেছি "টাকা আনা পাই", আমার জীবনের কোনো মূল্য নাই? স্যার হুমায়ুন আহমেদের "কোথাও কেউ নেই"এর বাকেরের মত আজ আমি ফাঁসির আসামি। কারণ, আমি যে বেকার!

ইতি--

তোমার

"কাঁচ কাটা হীরা"

চাখার, বরিশাল

২১.০৫.২১ খ্রিঃ

 


Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)