তমা এখন দিব্বি ঘুমাতে পারে

0



তমা এখন দিব্বি ঘুমাতে পারে

তমা এখন দিব্বি ঘুমাতে পারে সারারাত তার স্পর্শ ছাড়া।  

একটু ঝগড়া হলেই হিমেল পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়তো সেই বিয়ের প্রথম থেকে।

আর এদিকে তমা চোখের জলে বুক ভাসাতো।

তাতে অবশ্য হিমেলের কিছু এসে যেতো না।

তমা কেঁদে কেটে চোখ মুছে হিমেলের রুমে গিয়ে হিমেল কে জড়িয়ে ধরে সরি বলতো অন্যায় না করেও।

এমন হলো তাদের ঝগড়ার ধরন।

এতে অবশ্য হিমেলের কোন হেল দোল নেই।

ঝগড়া হলেই যেন ১০ কথা বেশি শুনিয়ে,বিছানা আলাদা করার মাঝেই সে নিজের পুরুষত্ব খুঁজে পায়।

এটা তমার কাছে বড্ড কষ্টের ছিলো।যাই হোক, তাই বলে বিছানা আলাদা?

কি এমন চায় সে।সারাদিন হিমেল বাড়ি ফেরার পর তার একটু হাসি মুখ।

রাতে কপালে একটা আলতো চুমু আর একটু ছুয়ে থাকা।

কিন্তু না; প্রায় প্রতিদিনই তাদের মনোমালিন্য লেগেই থাকে ছোট, বড় সব ব্যাপার নিয়ে।

এভাবেই কেটে গেছে বিয়ের অনেক টা বছর,,,,,,

তাতে অবশ্য হিমেলের স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়নি।

তবে পরিবর্তন হয়েছে তমার।এখন রাগ করে হিমেল পাশের রুমে চলে গেলেও তমা আর ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চোখ দুটো লাল করে না।একটু আদর পাওয়ার জন্য ছটফট করে না।আগ বাড়িয়ে যায় না হিমেলের রাগ ভাঙাতে।

এখন তমার হৃদয় পাথর হয়ে গেছে।

তমা বুঝে গেছে যতই পানি ঢালো গাছে ফুল ফুটবে না।

যতই অশ্রু বৃষ্টি ঝড়াও রংধনু উঠবে না।

তমা নিজেকে নিজের মতো মানিয়ে নিয়েছে।

মানিয়ে নিয়েছে চাপা কষ্ট কে।

হিমেলের দূর্ব্যবহার, আর বিছানা আলাদা এটা তমার কাছে এখন খুব সাধারণ নিয়মিত দিনযাপন।

কিন্তু এই সাধারণ দিন যাপনের পিছনে লুকায়িত আরও কতো শতো কষ্টের পাহাড়।

চাপাকষ্ট (ছোট গল্প)

বিভা ইসলাম

Biva Islam

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)