কালিজিরা নদী
জাগুয়া গ্রামের কোল ঘেঁষে
বয়ে গেছে কালিজিরা নদী।
রুপসি সোনালী কোমল জল
নিরব চলিতিছে নিরবধি।
নদীটির দু পাশে উঁচু নিচু
দাঁড়ানো গাছের সারি।
আর তার চার পাশে
কাঁচা পাকা ঘর বাড়ি।
সকালের সিগ্ধ মিস্টি রোদ
নদীর চরনে এসে।
গোটা জাগুয়া গ্রামটি আমার
চেঁয়ে থাকে হেসে হেসে।
দুপুরের তেজস্বী রোদের তাপে
নদীটি ক্ষুধার্ত হয়ে।
জোয়ারের তালে মিতালী হয়ে
খালে বিলে যায় বয়ে।
আবার বিকেলে গোধূলির
নিভু নিভু আলোতে।
স্নান করে যায় শ্রমিক
নদীর ঘোলা জলেতে।
রাতের আঁধারে চাদের কিরন
নদীর পানিতে এসে।
গ্রামটি আমার ঝলমল করে
মাটি মানুষকে ভালবাসে।
নদীটির ঘাটে রবি বুধবার
প্রতি হাটবারে।
বাজার করিতে লোক জন আসে
নদীটির পাড়ে পাড়ে।
দূর দূর অন্চল হতে আসে লোক
ছোট তরী নিয়ে।
নদীর শরীরে বয়ে চলে নৌকা
পাল তুলে দিয়ে।
কি অপরুপ প্রকৃতি পরিবেশ
কালিজিরা নদীটির মাঝে।
নিত্য নতুন নব যৌবন ফোটে
নদীটির ভাঁজে ভাঁজে।
নদীর দু পাড় ধরিয়া দাড়িয়ে আছে
কালিজিরা সেতুটি।
বিকেলের মুগ্ধ হাওয়ায় ভাসিতে
ছুটে আসে নব বধূটি।
হিন্দু মুসলিম আরো কত জাতি
সবাই সবার আপন।
সুখ আর আনন্দে বয়ে চলছে গ্রামটির
নরনারীর জীবন।
জাগুয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজীদ
গ্রামের সেরা উপাসনালয়।
হাজারো গ্রামের মুছল্লি সদা
প্রার্থনা করে নির্ভয়।
রয়েছে হাফিজিয়া মাদ্রাসা
শিশুদের জাগুয়া নুরানি মক্তব।
তারা হাসিয়া হাসিয়া কোরআন পড়ে
আত্মীয় বন্ধু বান্ধব।
নবারুণ পাঠাগার ও কাউন্সিলর কার্যলয়
এই নদীটির সাথে।
মানব সেবায় ব্রত হয়ে খোলা থাকে
প্রতি দিন রাতে।
ডাকঘর আর ঈদগাহ মাঠ
তাও নদীটির ধারে।
মূলে নদীটি আপন সবার
জীবনের দ্বারে দ্বারে।
কারী আশ্রাফ নামে মহান অলি
সে এক সুফি নর।
তিনিও নদীর ধারে ঘুমিয়ে আছেন
নদী পাশে ঘর।
কালিজিরা এই সুন্দর নদীটি
রুপ ধরে জল কালো।
ইতিহাসের। এই নদী জল
দেখিতে অবাক ভালো

