মনের
জানালা
আয়েশা
আক্তার
ঠং ঠং ঠং,,,,,,,,,
এক নাগারে বেজে চললো টিফিনের ঘন্টা। ছোট ছোট শিক্ষার্থী সোনা মনিরা 'মিড ডে মিল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যাবে তত তাড়াতাড়ি মাঠে খেলতে পারবে,চললপ্রতিযোগিতা।
এদিকে শিক্ষকরা খাবার, নামাজ, টয়লেট সেরে নিচ্ছেন। কতটুকুই বা সময়! দম বন্ধ নিঃশ্বাসে কাজ গুলো সেরে নিচ্ছেন।
খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে প্রধান শিক্ষক জানালা দিয়ে মাঠের দিকে খেয়াল রাখছেন। তিনি ও নামাজে গেলেন। ঘটনাটা ঘটল তখন।
মাঠে চিৎকার আর চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে গেলেন আয়েশা ম্যাডাম। আরে রনির বা হাত ঝুলছে! তিনি অন্য শিক্ষকদের ডাকলেন। এগিয়ে এলেন ইউনুস স্যার। রনির বা হাত টা ঠিক জায়গায় বসিয়ে দিলেন।
রাকিব, হাসান তোমাদের কাঠের স্কেল নিয়ে এসো, বললেন, আয়েশা ম্যাডাম।হাতের দুই পাশে স্কেল বসিয়ে গজ দিয়ে পেচিঁয়ে দিলেন। তার উপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভেজানো গামছা পেচিঁয়ে দিলেন।
এতে সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।
কেউ অভিভাবক কে ডেকে আনল, কেউ ফাস্ট এইড বক্স এগিয়ে দিল, কেউ স্কেল দিল, কেউ গামছা আনল, ইউনুস স্যার হাসপাতালে নিয়ে গেলেন।
সেদিন সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা ও সবাই মিলে কাজ করা সম্পর্কে ভালোই ধারণা নিল।
এভাবে সকাল থেকে বিকাল কচি কচি শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শিক্ষকদের শেষ হয় এক একটা দিন।
প্রতিটি শিক্ষকদের থাকে দুটো পরিবারের সন্তান।
আজ করোনা মহামারির কারণে তোমাদের থেকে দুরে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন নই।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা ভালো থেকো, সাবধান থেকো, বার বার হাত ধোবে, মাস্ক পড়ে বাহিরে যেও। রেডিওতে পাঠ শুনবে, সংসদ টিভিতে পাঠ দেখবে। বাড়ির কাজ খাতায় লিখে রাখবে। কোন সমস্যা হলে ফোন দিবে
তোমাদের প্রতি রইল
শুভ কামনা।

